এ গোকুলে শ্যামের প্রেমে কেবা না মজেছে সখি
এ গোকুলে শ্যামের প্রেমে কেবা না মজেছে সখি!
কারও কথা কেউ বলে না, আমি একা হই কলঙ্কী।।
অনেকেতে প্রেম করে
এমন দশা ঘটে কারে
গঞ্জনা দেয় ঘরে পরে
শ্যামের পদে দিয়ে আঁখি।।
তলে তলে তল গোজা যায়
লোকের কাছে সতী বলায়
এমন সৎ অনেক পাওয়া যায়
সদয় যে হয় সেই পাতকী।।
অনুরাগী রসিক হলে
সে কি ডরায় কুল নাশিলে
লালন বলে, ফুচকি১ খেলে
ঘোমটা দেয় আর চায় আড়চোখী।।
—————– বাউল কবি লালন শাহ, পৃ. ২৯৬ ‘লালন-গীতিকা’য় সঞ্চারীর ১ম চরণ “তলে তলে তল গাঁজা খায়” এবং আভোগের ২য় চরণ “সে কি ডরায় কুলশীলে”- এভাবে লেখা হয়েছে। এখানে ‘ফুচকি খেলে’ স্থলে ‘কুকটি খেলে’ কথান্তর আছে। ‘হারামণি’ ৫ম খণ্ডে উপরের দুটি কথান্তর ছাড়াও সঞ্চারীর
৩য় চরণে “এমনি মতে অনেক পাওয়া যায়” এবং আভোগের ৩য়-৪র্থ চরণে “লালন বেড়ায় ফুকটি খেলে/ঘোমটা দিয়ে চায় আড়চোখী” এরূপ কথান্তর আছে। পৃ. ১দ.-দ/. ১. ফুচকি – কুষ্টিয়ার আঞ্চলিক শব্দ, অর্থ উঁকিঝুঁকি দেওয়া। ‘ফুকটি’ বা ‘কুকটি’ অশুদ্ধ পাঠ।
Post a Comment