ব্যাংক বন্ধ হলে আমানতকারী ফেরত পাবেন সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা
কোনও ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেলে আমানতকারীরা সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা ফেরত পাবেন। এ বিধান যুক্ত করে নতুন ‘আমানত সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’ এর খসড়া প্রস্তুত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বর্তমানে প্রচলিত আইনে ফেরতের সীমা এক লাখ টাকা। আগের আওয়ামী লীগ সরকার এটিকে ২ লাখ টাকায় উন্নীত করার উদ্যোগ নিলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। এবার নতুন খসড়া তৈরি করে অর্থ মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্টদের মতামত চেয়েছে।
খসড়াটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে সংশ্লিষ্টদের কাছে মতামত আহ্বান করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, একজন গ্রিনকার্ডধারী অনির্দিষ্টকালের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে থাকতে পারে না। দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অবৈধ অভিবাসীদের নিজ নিজ দেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। সেই সঙ্গে কঠোর শুল্কনীতির কথাও ঘোষণা করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।
শুধু তা-ই নয়, আমেরিকায় জন্মগত নাগরিকত্ব আইন বদল নিয়ে আইনি লড়াই চালাচ্ছেন ট্রাম্প। সেই আবহেই আমেরিকার অভিবাসন নীতিতে বড় বদলের পরিকল্পনা করছে প্রশাসন। ‘গোল্ড কার্ড’ কিনে নাগরিকত্ব পেতে গুনতে হবে পাঁচ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ৬০ কোটি টাকা।
অনেকের মতে, নতুন ‘গোল্ড কার্ড’ চালু হলে বর্তমান ‘ইবি-৫ প্রোগ্রাম’ এর ওপর প্রভাব পড়তে পারে। ‘ইবি-৫ প্রোগ্রাম’-এর মাধ্যমে অভিবাসী বিনিয়োগকারীরা আমেরিকায় গ্রিন কার্ড পেয়ে থাকেন। নতুন ‘গোল্ড কার্ড’ চালু হলে ‘ইবি-৫ প্রোগ্রাম’ আর থাকবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরে বর্তমানে ১১টি সঞ্চয় স্কিম চালু আছে। এগুলোর মধ্যে ৪টি সঞ্চয়পত্র, ২টি ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংক হিসাব, ১টি প্রাইজবন্ড, ১টি ডাক জীবনবিমা এবং ৩টি প্রবাসীদের জন্য বন্ড। তবে সব কর্মসূচিতে বিনিয়োগের বিপরীতে সুদ বা মুনাফার হার এক নয়। সুদের ওপর কর হার ভিন্ন ভিন্ন।
দেশে চার ধরনের সঞ্চয়পত্রের মধ্যে রয়েছে- ১. পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র; ২. তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র; ৩. পরিবার সঞ্চয়পত্র ও ৪. পেনশনার সঞ্চয়পত্র।
ভিন্ন ভিন্ন রেটে ১১ শতাংশ থেকে ১১ দশমিক ৭৬ শতাংশ মুনাফা দেওয়া হচ্ছে সঞ্চয়পত্রে। তবে মেয়াদের আগে ভাঙালে মুনাফা কমে যায়।
পেনশনার সঞ্চয়পত্রের মেয়াদ ৫ বছর। সঞ্চয়পত্রের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মুনাফা পাওয়া যায় পেনশনার সঞ্চয়পত্রে। যার হার ১১ দশমিক ৭৬ শতাংশ। পেনশনার সঞ্চয়পত্রের মুনাফা মাসিক ও ত্রৈমাসিক উভয় ভিত্তিতে তোলা যায়। এ সঞ্চয়পত্রে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগের বিপরীতে অর্জিত মুনাফার ওপর উৎসে কোনো কর কাটা হয় না। এর বেশি বিনিয়োগের মুনাফার বিপরীতে উৎসে কর ১০ শতাংশ। একক নামে সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করার সুযোগ রয়েছে।
পেনশনার সঞ্চয়পত্র কিনতে পারবেন যারা- অবসরপ্রাপ্ত সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা/কর্মচারী, সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্য এবং মৃত চাকরিজীবীর পারিবারিক পেনশন সুবিধাভোগী স্বামী, স্ত্রী এবং সন্তান।
গ্রাহকদের কাছে বেশি আকর্ষণীয় পাঁচ বছর মেয়াদি ‘পরিবার সঞ্চয়পত্র’। সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ হয় এই সঞ্চয়পত্রে। সরকার পেনশনারদের জন্য সবচেয়ে বেশি মুনাফা দিলেও এর পরই অবস্থানে পরিবার সঞ্চয়পত্র। মেয়াদ শেষে মুনাফা পাওয়া যায় ১১ দশমিক ৫২ শতাংশ হারে। তবে বছরভিত্তিক মুনাফা ভাগ করা আছে। যেমন প্রথম বছর শেষে ৯ দশমিক ৫০, দ্বিতীয় বছর শেষে ১০, তৃতীয় বছর শেষে ১০ দশমিক ৫০ এবং চতুর্থ বছর শেষে ১১ শতাংশ। ১ লাখ টাকায় প্রতি মাসে মুনাফা ৯৬০ টাকা। উৎসে কর ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগের বিপরীতে মুনাফার ওপর ৫ শতাংশ, এর বেশি বিনিয়োগের মুনাফার ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ। একক নামে সর্বোচ্চ ৪৫ লাখ টাকা বিনিয়োগ করা যায়। এছাড়া পরিবার সঞ্চয়পত্রের মুনাফা মাসিক কিস্তিতে তোলা যায়।
কারা কিনতে পারবেন- ১৮ বছরের বেশি যেকোন বাংলাদেশি মহিলা, যেকোন বাংলাদেশি শারীরিক প্রতিবন্ধী (পুরুষ ও মহিলা) এবং ৬৫ বা তার তদূর্ধ্ব যেকোনো বাংলাদেশি (পুরুষ ও মহিলা) নাগরিক।
পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রে মুনাফার হার ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ। তবে মেয়াদ পূর্তির আগে ভাঙালে মুনাফা ১ম বছর শেষে ৯ দশমিক ৩৫, ২য় বছর শেষে ৯ দশমিক ৮০, ৩য় বছর শেষে ১০ দশমিক ২৫ এবং ৪র্থ বছর শেষে ১০ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এ সঞ্চয়পত্রেও ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগের বিপরীতে মুনাফার ওপর উৎসে কর ৫ শতাংশ, এর বেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মুনাফার ওপর উৎসে কর ১০ শতাংশ। বাংলাদেশি নাগরিক যে কেউ এই সঞ্চয়পত্র কিনতে পারবেন। একক নামে ৩০ লাখ যুগ্ম-নামে ৬০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করা যাবে। পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র শুধু সঞ্চয় অধিদপ্তর থেকে কেনা যাবে।
৩-মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার ১১ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। যেকোনো শ্রেণি-পেশার নাগরিক এটি কিনতে পারেন। এ সঞ্চয়পত্রের মেয়াদ ৩ বছর। তবে মেয়াদ পূর্তির আগে ভাঙালে কিছু মুনাফার হার কম হবে। যেমন তিন বছর শেষে মুনাফার হার ১১ দশমিক শূন্য ৪, দুই বছর শেষে ১০ দশমিক ৫০ এবং এক বছর শেষে ১০ শতাংশ। ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগে উৎসে কর ৫ শতাংশ, বিনিয়োগ এর ওপরে গেলেই উৎসে কর ১০ শতাংশ।
ক্রয় করতে পারবেন যারা-- সব শ্রেণি ও পেশার বাংলাদেশি নাগরিক। অটিস্টিকদের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান/অন্য যেকোনো অটিস্টিক সহযোগী প্রতিষ্ঠান (যাদের সঞ্চয়পত্রের মুনাফা অটিস্টিকদের সহায়তায় অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে) যা সংশ্লিষ্ট জেলা সমাজসেবা কার্যালয় কর্তৃক প্রত্যয়নকৃত।
প্রবাসীদের জন্য তিনটি বন্ড রয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি মুনাফা মিলে ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ডে। এর মুনাফার হার ১২ শতাংশ। পাঁচ বছর মেয়াদি এ বন্ডে ৬ মাস অন্তর মুনাফা তোলার সুযোগ রয়েছে।
ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ডের মেয়াদ তিন বছর। এর মুনাফার হার ৬ দশমিক ৫ শতাংশ। প্রবাসীদের জন্য আরেকটি বন্ড রয়েছে, যার নাম ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ড। এ বন্ডে বিনিয়োগে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ মুনাফা পাওয়া যায়। তবে তিনটি বন্ডের বিনিয়োগের বিপরীতে পাওয়া মুনাফা করমুক্ত রয়েছে।
এ ছাড়া ১০০ টাকার প্রাইজবন্ডের বিপরীতে সর্বোচ্চ ৬ লাখ টাকা পর্যন্ত পুরস্কার পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। প্রতি তিন মাস পরপর ড্র হয়। এর ওপর উৎসে কর ২০ শতাংশ।
ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংকের আওতায় দুটি স্কিম রয়েছে। একটি সাধারণ হিসাব, অন্যটি মেয়াদি হিসাব। দেশের সব শ্রেণি-পেশার বাংলাদেশি নাগরিকই এ দুই স্কিমে বিনিয়োগ করতে পারেন। সাধারণ হিসাবের ক্ষেত্রে মুনাফার সরল হার ৭ দশমিক ৫ শতাংশ।
মেয়াদি হিসাব তিন বছরের জন্য। এ হিসাবের মুনাফার হার ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ। তবে তিন বছরের মেয়াদ পূর্তির আগে ভাঙানোর ক্ষেত্রে এক বছরের জন্য মুনাফা ১০ দশমিক ২০ শতাংশ এবং দুই বছরের জন্য ১০ দশমিক ৭০ শতাংশ। এ দুটির ক্ষেত্রেও ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগের বিপরীতে পাওয়া সুদের ওপর উৎসে কর ৫ শতাংশ, এর বেশি বিনিয়োগের মুনাফার ওপর ১০ শতাংশ।
ডাক জীবনবিমায় পলিসি দুই ধরনের। একটি আজীবন ও অন্যটি মেয়াদি। যেকোনো নাগরিক যেকোনো ডাকঘরে ‘ডাক জীবনবিমা’ পলিসি করতে পারেন। পলিসির কোনো ঊর্ধ্বসীমা নেই। আজীবন বিমার ক্ষেত্রে মেয়াদ শেষে বছরে বোনাস পাওয়া যায় প্রতি লাখে ৪ হাজার ২০০ টাকা। আর মেয়াদি বিমার ক্ষেত্রে বছরে প্রতি লাখে পাওয়া যায় ৩ হাজার ৩০০ টাকা বোনাস। এ বোনাস করমুক্ত।
সব ধরনের সঞ্চয়পত্র কেনার জন্য নির্দিষ্ট ফরম রয়েছে। ওয়েবসাইট (nationalsavings.gov.bd) থেকে ডাউনলোড করেই এ ফরম পাওয়া যায়। সঞ্চয়পত্র কিনতে হলে গ্রাহকদের প্রথমে এ ফরম পূরণ করতে হয়, সঙ্গে দিতে হয় গ্রাহক ও নমিনির পাসপোর্ট আকারের দুই কপি করে ছবি। গ্রাহকের ছবি সত্যায়িত করবেন প্রথম শ্রেণির সরকারি কর্মকর্তার মাধ্যমে। আর নমিনির ছবির সত্যায়ন করবেন গ্রাহক নিজেই।
সঞ্চয়পত্র কেনার সময় গ্রাহক ও নমিনির জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি বাধ্যতামূলক। তবে নমিনি যদি নাবালক হয় তাহলে জন্মনিবন্ধনের কপি লাগবে। পাশাপাশি লাগবে গ্রাহকের নিজ ব্যাংক হিসাবের চেকের কপি, যে অ্যাকাউন্টে গ্রাহকের মুনাফা ও আসল টাকা স্বয়ংক্রিয়ভাবে জমা হবে, ওই হিসাবের নম্বর দিতে হবে। পেনশনার সঞ্চয়পত্র কেনার ক্ষেত্রে বাড়তি কাগজ হিসেবে লাগে সর্বশেষ নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের সনদ।
সাম্প্রতিক সময়ে বেশ সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ ও এর ব্যবস্থাপনায় বেশ কিছু পরিবর্তন এনেছে সরকার। কারণ সাধারণ মানুষের কাছে সঞ্চয়পত্র ক্রয় বিনিয়োগ হলেও সরকারের কাছে এটি ঋণ। এজন্য বিনিয়োগকারীদের নির্দিষ্ট পরিমাণ মুনাফা পরিশোধ করতে হয়। তাই সঞ্চয়পত্রে নানা শর্ত দিয়েছে সরকার।
সঞ্চয়পত্রে শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে--- এখন পাঁচ লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্র কিনতে হলে গ্রাহকের বাধ্যতামূলক আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হয়। ২০২২ সালের জুলাই মাসে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এক সার্কুলার জারি করে জানায়, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে সঞ্চয়পত্র ও ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংক হিসাবে পাঁচ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অর্থ আইন, ২০২২-এর ৪৮ ধারা যথাযথ পরিপালনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ছাড়া ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা টাকা ১০ লাখ অতিক্রম করলেও রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র দিতে হবে ব্যাংকে। এ কারণে একশ্রেণির গ্রাহক সঞ্চয়পত্র বিমুখ হচ্ছেন।
এছাড়া চলতি অর্থবছরের বাজেটে দুই লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্র বা পোস্টাল সেভিংস কিনতে হলে কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। নতুন নিয়মে একক নামে ৫০ লাখ এবং যৌথ নামে ১ কোটি টাকার বেশি সঞ্চয়পত্র কেনা যাবে না। গ্রাহক পেনশনার হলে একক নামে এক কোটি এবং যৌথ নামে দেড় কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র কিনতে পারবেন।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ভিসা চেক করার লিংক
ঘরে বসেই বিভিন্ন দেশের ভিসা চেক করুন:
১। তানজানিয়া www.tanzania.go.tz
২। কাতার www.moi.gov.qa/site/english
৩। কুয়েত www.moi.gov.kw
৪। পাকিস্তান www.moitt.gov.pk/
৫। সৌদি আরব www.moi.gov.sa/
৬। দুবাই/আরব আমিরাত www.moi.gov.ae
৭। মিশর www.moiegypt.gov.eg/english/
৮। বাংলাদেশ www.moi.gov.bd
৯। সাইপ্রাস http://moi.gov.cy/
১০। নেপাল http://www.moic.gov.np/
১১। আলবেনিয়া http://www.moi.gov.al/
১২। জামবিয়া http://www.moi.gov.gm/
১৩। জর্দান http://www.moi.gov.jo/
১৪। ইন্ডিয়া http://labour.nic.in/
১৫। কেনিয়া www.labour.go.ke/
১৬। ইটালী https://www.visaservices.org.in/Italy-Bangladesh-Tracking/
১৭। সিংগাপুর: www.mom.gov.sg/
সিঙ্গাপুরের ভিসা চেক করতে: http://singapore.embassyhomepage.com/
১৮। গ্রীস www.mddsz.gov.si/en
১৯। শ্রীলংকা: www.labourdept.gov.lk/
২০। দক্ষিণ আফ্রিকা www.labour.gov.za/
২১। ইরান: www.irimlsa.ir/en
২২। গানা www.ghana.gov.gh/
২৩। থাইল্যান্ড: www.mfa.go.th
২৪। বাহরাইন: www.mol.gov.bh
২৫। ভূটান www.molhr.gov.bt/
২৬। কলমবিয়া www.labour.gov.bc.ca/esb/ www.gov.bc.ca/citz
২৭। কানাডা: www.labour.gov.on.ca/english/
২৮। বারবাডোস www.labour.gov.bb/
২৯। কোরিয়া: www.moel.go.kr/english
৩০। জাপান www.mhlw.go.jp/english/
৩১। সাইপ্রাস www.mfa.gov.cy/
৩২। ভিয়েতনাম english.molisa.gov.vn/
৩৩। নিউজিল্যান্ড www.dol.govt.nz/
৩৪। নামিবিয়া www.mol.gov.na/
৩৫। মালদ্বীপ mhrys.gov.mv/
৩৬। মায়ানমার www.mol.gov.mm/
৩৭। লেবানন www.labor.gov.lb/
৩৮। পোল্যান্ড www.mpips.gov.pl/en
৩৯। ইংল্যান্ড www.ukba.homeoffice.gov.uk
৪০। বুলগেরিয়া www.mlsp.government.bg/en
৪১। আমেরিকা www.dvlottery.state.gov/ESC www.dol.gov/
৪২। স্পেন: www.mtin.es/en
৪৩। ইউক্রেইন www.mlsp.gov.ua/
৪৪। উগান্ডা www.mglsd.go.ug/
৪৫। পেলেস্তাইন www.mol.gov.ps/
৪৬। ব্রুনাই: www.labour.gov.bn/
৪৭। ইয়ামেন: www.dol.gov/
৪৮। নেদারল্যান্ড: english.szw.nl/
৪৯। জামবিয়া: www.mlss.gov.zm
৫০। অষ্ট্রেলিয়া: www.workplace.gov.au/
৫১। জিমবাবুয়ে www.dol.gov/
৫২। ফিলিফাইন: www.dole.gov.ph/
৫৩। মালয়েশিয়া: www.mohr.gov.my
৫৪। রাশিয়া: www.labour.gov.on.ca/
৫৫। ভারতীয় ভিসা আবেদন: www.indianvisaonline.gov.in/visa/
http://indianvisaonline.gov.in/visa/indianVisaReg.jsp
৫৬।UAE ভিসা চেক: http://united-arab-emirates.visahq.com/
৫৭।কানাডা : www.cic.gc.ca/english/index.asp
৫৮।ওমান : www.rop.gov.om/english/onlineservices-visastatus.asp
৫৯। ওমানের ভিসা : www.rop.gov.om/
৬০। Entry Permit চেক করার জন্য www.moi.gov.ae/
৬১। বাহরাইন www.markosweb.com/www/mol.gov.sa/
৬২। সৌদি আরব: www.saudiembassy.net/
৬৩। হাঙ্গেরী: www.huembwas.org/
পিরামিডের প্রসঙ্গ উঠলে প্রথমেই যে দেশটির কথা মাথায় আসে তা হল মিশর।
চারদিকে শুধু বালি আর বালি। মাটির গভীরে সেখানে প্রোথিত রয়েছে অপার রহস্যের খনি।
ইতিহাস যেন প্রতিটি পিরামিডের নীচে শায়িত। শতাব্দীপ্রাচীন এক একটি পিরামিড
রহস্য-রোমাঞ্চের খনি।
কিন্তু পৃথিবীর সবচেয়ে পুরনো পিরামিড নাকি তৈরি হয়নি মিশরে।
মিশরীয়দের হারিয়ে সেই তকমা কেড়ে নিয়েছে ইন্দোনেশিয়া। সেখানে মাটির নীচে শায়িত
রয়েছে ২৫ হাজার বছরের ইতিহাস। বয়সে মিশরের পিরামিড এই পিরামিডের কাছে নেহাতই শিশু।
মিশরে অনেকেই বিশ্বাস করেন, পিরামিড মানুষের তৈরি নয়, ভিন্গ্রহের প্রাণীদের তৈরি। এ রকমও
প্রচলিত আছে যে, জাদুবলে পাথরে ওজন শূন্য করে ফেলে সেগুলি পর পর সাজিয়ে পিরামিড
বানানো হয়েছিল। মিশর বিশেষজ্ঞদের মতে খ্রিস্টের জন্মের প্রায় ২ হাজার ৭০০ বছর আগে
তৈরি হয়েছিল বিখ্যাত গিজ়া পিরামিড। এর কাছাকাছি সময়েই তৈরি হয় জ়োসেরের পিরামিড।
ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম জাভায় সবুজ দিয়ে মোড়া এক পাহাড়ি অঞ্চল। এর মাঝে ইতিউতি পড়ে থাকতে দেখা যায় ছোটবড় অসংখ্য রহস্যময় পাথর। এই অঞ্চলে মূলত প্রাচীন জনজাতিদের বসবাস। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে এটি একটি অতি পবিত্র স্থান। কিন্তু এর আসল রহস্য বহু দিন অজানাই থেকে গিয়েছিল। বিশেষজ্ঞেরা জানিয়েছেন, এখানে মাটির নীচে লোকচক্ষুর আড়ালে লুকিয়ে রয়েছে এক বিশাল পিরামিড।
নাম ‘গুনুং পাডাং’। স্থানীয়
বাসিন্দারা এই ধরনের স্থাপত্যকে ‘পান্ডেন বেরুনডাক’ নামে ডেকে থাকেন। নামের অর্থ ধাপে ধাপে
ওঠা পিরামিড। এ অঞ্চলে প্রত্নতত্ত্ববিদদের পা পড়েছে মাত্র এক দশক আগে। তার আগে এই
অঞ্চলের অধিবাসীদের কাছে সুপ্রাচীন স্থাপত্যের অস্তিত্ব অধরাই থেকে গিয়েছিল। একে
একটি পাহাড় বলেই জানতেন সে দেশের মানুষ।
বিশেষজ্ঞেরা প্রথমে জানিয়েছেন, মিশরের পিরামিড, এমনকি স্টোনহেঞ্জের থেকেও পুরনো এই
পিরামিড সম্ভবত মানুষের তৈরি সবচেয়ে প্রাচীন মেগালিথিক (একাধিক বিশালাকারের পাথর
দিয়ে তৈরি) স্থাপত্য। অবশ্য সম্প্রতি সেই ধারণা নিয়ে ভিন্ন মত পোষণ করতে শুরু
করেছেন গবেষকদের একাংশ।
২০১১ সাল থেকে ২০১৫ সাল, প্রত্নতত্ত্ববিদ, ভূতত্ত্ববিদ, ভূপদার্থবিদদের একটি বিশেষ দল অভিযান
চালায় এই অঞ্চলে। দীর্ঘ গবেষণা ও প্রত্নতাত্ত্বিক বিশ্লেষণের পরে রিপোর্ট প্রকাশ
করেছে ইন্দোনেশিয়ার ‘ন্যাশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন এজেন্সি’।
ইন্দোনেশিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সেসের ড্যানি হিলম্যান নাতাভিদজাজা
এই গবেষণার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এবং গবেষণাপত্রটি ‘আর্কিয়োলজিক্যাল প্রসপেক্টশন’ নামক একটি প্রবন্ধের আকারে পত্রিকায়
প্রকাশিত হয়েছিল।
ড্যানি গবেষণাপত্রে উল্লেখ করেছিলেন, প্রত্নতাত্ত্বিক বিশ্লেষণের পরে জানা
গিয়েছে আগ্নেয় পাথরের তৈরি পাহাড়ের গা কেটে এই স্থাপত্য তৈরি হয়েছিল।
রেডিয়োকার্বন ডেটিংয়ের রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, তুষার যুগের শেষে তৈরি হয়েছিল এই
স্থাপত্য।
পিরামিডের মূল অংশটি বিশাল অ্যান্ডেসাইট লাভা দিয়ে তৈরি। পিরামিডের
প্রাচীনতম নির্মাণ উপাদানটি সম্ভবত একটি প্রাকৃতিক লাভা পাহাড়। তার পর সেটি কেটে
কেটে ভাস্কর্য তৈরি করা হয়েছিল এবং তার পর একে স্থাপত্যের রূপ দেওয়া হয়েছিল।
ড্যানি জানান, গুনুং পাডাংয়ের গঠন বেশ জটিল এবং একই সঙ্গে
অভিজাত। এর সবচেয়ে গভীর অংশ মাটির থেকে ৩০ মিটার নীচে। ড্যানির দাবি, পিরামিডের কেন্দ্রস্থলটি খ্রিস্টপূর্ব
২৫ হাজার থেকে খ্রিস্টপূর্ব ১৪ হাজার বছরের মধ্যে তৈরি। কিন্তু তার পর দীর্ঘ দিন
সেটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়েছিল।
খ্রিস্টপূর্ব ৭৯০০ থেকে খ্রিস্টপূর্ব ৬১০০ বছরের মধ্যে এর কাজ চলে।
চূড়ান্ত নির্মাণকাজ চলে খ্রিস্টপূর্ব ২০০০ থেকে খ্রিস্টপূর্ব ১১০০ বছরের মধ্যে।
পিরামিডের উপরিভাগের এই অংশটিই বর্তমানে কিছুটা দৃশ্যমান।
পিরামিডের পরিকল্পনাও অত্যন্ত জটিল ধরনের। এর সবচেয়ে গভীর অংশটি
মাটির প্রায় ৩০ ফুট নীচে রয়েছে। এ ছাড়াও এর ভিতরে রয়েছে বিরাট আকৃতির বেশ কয়েকটি
গুপ্ত কক্ষ, যার সব ক’টির রহস্য সমাধান করা সম্ভব হয়নি।
একটি নতুন গবেষণাপত্রে গবেষকদের একটি চমকপ্রদ দাবি উঠে এসেছে। তাঁরা
বলছেন ইন্দোনেশিয়ার গুনুং পাডাং পিরামিড খ্রিস্টের জন্মের আনুমানিক ১৬ হাজার থেকে
২৭ হাজার বছর আগে নির্মিত হয়েছিল ঠিকই, তবে এই নির্মাণটি আদৌ মানুষের তৈরি কি
না তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তাঁরা।
বিশেষজ্ঞেরা জানিয়েছেন, জটিল এই স্থাপত্যটি বৈচিত্রে ভরা। গবেষণাপত্রে
লেখা হয়েছে, গুনুং পাডাং বিভিন্ন সময়ে একাধিক বার বিভিন্ন গোষ্ঠীর দখলে এসেছে।
তাদের প্রভাবে এর স্থাপত্য ও আকারে পরিবর্তন ঘটেছে। ফলে এই পিরামিডের প্রতিটি
কোনায় লুকিয়ে রয়েছে ইতিহাস।
#