মৃন্ময়ী মায়াবতী
তার চোখে আমি দেখি—
শতাব্দীর প্রাচীন নদীর ঢেউ,
যেন কুয়াশাভেজা ভোরে
ধানক্ষেতের আলের ধারে বসে
সূর্যের হাতছানি দেওয়া কেউ।
সেই চোখের ভেতর দিয়ে
পৃথিবী একদিন নতুন হয়ে ওঠে,
ঘাসের ফাঁকে উঁকি দেয় ফড়িং,
নতুন স্বপ্নে জাগে নিঃস্বর প্রাণমন।
তার কথার ভাঁজে ভাঁজে
কত রোদ ঝরে পড়ে—
কখনো মায়াবী, কখনো ম্লান—
যেন শরতের মাঠে হাওয়া,
বয়ে যাওয়া সোনালি বিকাল।
সে কথা বলে, আমি শুনি—
মনে হয় অদৃশ্য কোনো বাঁশি
আটকে রাখে মায়ার বাঁধনে,
ভাবের তরঙ্গে এ যেন নতুন সকাল।
তার কোমলতা—
যেন নিঃশব্দে দাঁড়িয়ে থাকা বটগাছ,
যেখানে পথিক আশ্রয় নেয়,
ক্লান্তি গলে মিলিয়ে যায় যন্ত্রণা, বিষণ্ন আঁচ।
সে মৃন্ময়ী মায়াবতী,
সে যেন ভিড়ের ভেতরে নির্জনতা,
যেন চাঁদের আলোয় ভেজা বনপথ,
যেখানে প্রতিধ্বনি জন্ম দেয় অনন্ততা।
আমি তাকিয়ে থাকি,
মনে হয়—
আমার জীবনের সমস্ত আলো
তারই চোখের ভেতরে জমে আছে।
@অরণ্য জুয়েল
0 Comments