Facebook to allow up to five profiles tied to one account
ফেক আইডি চালানোর অনুমতি দিলো ফেসবুক!! এখন এক অ্যাকাউন্টে পাঁচ প্রোফাইল চালানো যাবে।
ফেসবুক নতুন নীতিমালা ঘোষণা করেছে, নতুন ফিচার চালু করেছে। এখন থেকে একটি অ্যাকাউন্ট থেকে পাঁচটি প্রোফাইল চালানোর সুযোগ দেবে ফেইসবুক। নতুন ফিচারটির মাধ্যমে প্রোফাইলে ব্যবহারকারীর আসল নাম ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা থেকে সরে আসছে বিশ্বের বৃহত্তম সামাজিক যোগাযোগের এই প্ল্যাটফর্ম।
ফেইসবুকের মূল কোম্পানি মেটা ইনকর্পোরেটেড গত বৃহস্পতিবারের এক বিবৃতিতে এই নতুন ফিচার আনার ঘোষণা দিয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
জন্মলগ্ন থেকেই ব্যবহারকারীদের আসল নাম ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা দিয়ে রেখেছে ফেইসবুক, যদিও বাস্তবে তা পুরোপুরি কার্যকর হয়নি কখনোই।
এখন একাধিক প্রোফাইল চালানোর সুযোগ দিলে তা মানুষের আগ্রহ ও সম্পর্কের ভিত্তিতে ‘নিজের অভিজ্ঞতা সাজিয়ে নিতে সাহায্য করবে’ বলে আশা করছে মেটা।
রয়টার্স লিখেছে, ফেইসবুকে পরিবারের সদস্য ও বন্ধুদের জন্য আলাদা আলাদা প্রোফাইলে আলাদা কনটেন্ট পোস্ট করার কথাই বলেছে মেটা।
তবে ফেইসবুকে কেবল একটি অ্যাকাউন্ট রাখার বাধ্যবাধকতা বজায় রাখছে মেটা। এক্ষেত্রে ব্যবহারকারীর মূল প্রোফাইলে তার আসল নাম থাকবে।
মূল প্রোফাইলের পাশাপাশি আরও প্রোফাইল বানানো থাকলে, ওই এক অ্যাকাউন্টে লগ-ইন করেই সবগুলো প্রোফাইল চালানোর সুযোগ পাবেন ব্যবহারকারী। নতুন ফিচারে মূল প্রোফাইল বাদে বাকিগুলোতে নিজের পরিচয় আংশিক গোপন রাখার সুযোগ মিলবে।
রয়টার্স বলছে, টিকটক ও টুইটারের মতো প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে তাল মেলাতেই নতুন ফিচারটি চালু করছে মেটা। মেটার নিজস্ব ফটো ও ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ ইনস্টাগ্রামেও একই ধরনের সেবা চালু আছে।
তবে অন্য কোনো ব্যক্তিকে নকল না করা কিংবা অন্য কারও পরিচয় ব্যবহার না করার বিষয়ে নীতিমালা অপরিবর্তিত থাকছে বলে জানিয়েছে মেটা; সবগুলো প্রোফাইলের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে বিদ্যমান নীতিমালা।
নতুন ফিচারটি বেশ কয়েকটি দেশের বাজারে পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে বলে রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছেন মেটার একজন মুখপাত্র। তবে ওই দেশগুলোর নাম জানাননি তিনি।
মোবাইল ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার কমিয়ে জীবন উপভোগের পরামর্শ দিয়েছেন তারবিহীন যন্ত্রটির উদ্ভাবক মার্টিন কুপার। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে তিনি এই পরামর্শ দেন।
মার্টিন কুপারের বর্তমান বয়স ৯৩। তিনি ১৯৭৩ সালে বিশ্বের প্রথম ওয়্যারলেস সেলুলার ডিভাইস—মটোরোলা ডায়নাটিএসি ৮০০০এক্স—তৈরি করেন।
তবে তার প্রায় ৫০ বছর পর এই প্রকৌশলীর মনে হচ্ছে ফোনের পেছনে মানুষের আরও কম সময় দেওয়া উচিত।
বিবিসি ব্রেকফাস্ট-এ আলাপকালে কুপার স্বীকার করেন যে, তিনি নিজের সময়ের ‘পাঁচ শতাংশের’ও কম সময় ব্যয় করেন মোবাইলে।
সাক্ষাৎকার গ্রহণকারী জেইন ম্যাককাবিন কুপারকে প্রশ্ন করেন, ‘আমার মতো যারা দিনে পাঁচ ঘণ্টা পর্যন্ত ফোন ব্যবহার করে, তাদের কী বলবেন?’
এ সময় বিস্ময় প্রকাশ করে কুপার বলেন, সত্যিই? সত্যিই আপনি দিনে পাঁচ ঘণ্টা সময় দেন মোবাইলের পেছনে?’। তারপর একগাল হেসে বলেন, জীবনটাকে একটু উপভোগ করুন।
১৯৫০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি থেকে স্নাতক সম্পন্ন করে ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন কুপার। ১৯৫৪ সালে তিনি মটোরোলায় যোগ দেন।
১৯৭৩ সালে কুপার আবিষ্কার করেন বিশ্বের প্রথম মোবাইল ফোন। তারপর তিনি ওই ফোন দিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী জোয়েল এঙ্গেলকে কল করেন। এঙ্গেল ছিলেন এটিঅ্যান্ডটি-র প্রধান ইঞ্জিনিয়ার।
ওই ঘটনার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে কুপার বলেন, ফোন করে বললাম, জোয়েল, তোমাকে আমি একটা সেলফোন থেকে কল করেছি, সত্যিকারের সেলফোন—একটা ব্যক্তিগত, হাতেধরার পোর্টেবল সেলফোন। অপরপ্রান্তে ছিল শুধুই নীরবতা।
প্রথম মোবাইল ফোনের ব্যাটারিতে একবার চার্জ দিলে ২৫ মিনিট চলত। আর ফুল চার্জ হতে সময় লাগত ১০ ঘণ্টা। ১০ ইঞ্চি লম্বা ওই ফোনের ওজন ছিল আড়াই পাউন্ড।