2024

পৃথিবী থেকে অনেক প্রাচীন যুগের প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে গেছে। নানা সময়ে তারা বিলুপ্ত হয়েছে। তেমনই ধরে নেওয়া হয়েছিল নর্দার্ন ব্যাল্ড আইবিসের ক্ষেত্রেও। ৩০০ বছরে এ পাখির দেখা ইউরোপে পাওয়া যায়নি। ধরেই নেওয়া হয়েছিল যে এরাও বিলুপ্ত হয়ে গেছে। কিন্তু ১৯৯০-এর দশকে এই পাখির ফের দেখা মেলে। তবে তা ইউরোপে নয়। আফ্রিকার দেশ মরক্কোতে। সেখানে অনেক খোঁজাখুঁজির পর ৫৯ জোড়া পাখির খোঁজ পান বিশেষজ্ঞেরা। আর দেরি না করে শুরু হয় এদের সংরক্ষণের কাজ। ১৯৯৪ সালে পাখিটি নিয়ে গবেষণাও শুরু হয়। যা ক্রমে এদের সংখ্যাকে বাড়াবে। সেটাই হয়। ২০১৮ সালে এদের সংখ্যা ৫০০-তে গিয়ে ঠেকে। ওই বছর ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অফ নেচার (আইইউসিএন) বিপদগ্রস্ত প্রজাতির অতি-বিপন্ন থেকে বিপন্ন ক্যাটাগরিতে স্থান দেয়। যা অবশ্যই খুশির খবর ছিল। আরও বড় খবর হলো এরপর এরা ফের ফিরতে শুরু করে ইউরোপে। নর্দার্ন ব্যাল্ড আইবিসের লম্বা চঞ্চু, মাথায় কোনো পালক নেই। দেখেই বোঝা যায়, এ পাখির মধ্যে একটা প্রাচীন পাখিদের ছোঁয়া রয়েছে। বাস্তবেও তাঁরা ইউরোপে মধ্যযুগের অবসানের সঙ্গে নিজেরাও বিলুপ্ত হয়েছিল। ৩০০ বছর হারিয়ে থাকার পর ফের তাঁরা ফিরছে ইউরোপে। বর্তমানে ২৭০টি আইবিস ইউরোপে বিচরণ করছে। একসময় এই পাখি প্রচুর শিকার হওয়ায় এরা হারিয়ে যায় ইউরোপ থেকে। ৩০০ বছর তাদের না দেখা পেয়ে তাদের কথা ভুলেই গিয়েছিলেন সকলে। পরে মরক্কোতে তাদের আত্মপ্রকাশ পুরো চিত্র বদলে দেয়। এই প্রজাতিকে ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকায় পাওয়া যেত। কিন্তু এখন তাদের বড় অংশটি আফ্রিকায় রয়েছে। আইবিস মূলত পোকামাকড়, কৃমি এবং লার্ভা খায়। যা হোক, প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাসের কারণে খাবারের জন্য তাদের হন্য হয়ে লড়তে হয়।
ইউরোপে প্রজাতিটিকে ফিরিয়ে আনার নানা প্রকল্প চলছে। ২০০৪ সালে স্পেনের আন্দালুসিয়া অঞ্চলে একটি প্রকল্প চালু করা হয়েছিল, যা সফলভাবে পাখিটিকে বনে ছাড়তে সক্ষম হয়েছিল। পাখিটির ছানা হাতে বড় করে ধীরে ধীরে প্রাকৃতিক আবাসস্থলে ছেড়ে দেওয়া হয়। এদিকে, অস্ট্রিয়া এবং জার্মানিতে এই পাখি ফেরাতে আরেকটি প্রচেষ্টা চলছে। অস্ট্রিয়ান জীববিজ্ঞানী জোহানেস ফ্রিটজ এই প্রকল্পের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সংরক্ষণের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও আইবিস এখনো হুমকির মুখে রয়েছে। শিকার, কীটনাশক ব্যবহার এবং জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা কারণে পাখিটি হুমকির মুখে আছে। শুধুমাত্র ২০২৩ সালে শিকারের কারণে ইউরোপে অভিবাসী পাখিদের ১৭ শতাংশ মারা পড়েছে। এমতাবস্থায় আইবিসের টিকে থাকা নিশ্চিত করতে সংরক্ষণ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা জরুরি।

অনিবন্ধিত মোবাইল সেট বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। শিগগিরই এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করার কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। মূলত সরকারের রাজস্ব আহরণ নিশ্চিত করা এবং ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের চুরি ও অবৈধ ব্যবহার রোধে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 


বিটিআরসির এমন সিদ্ধান্তের পর অনেক গ্রাহকের মাথায় দুশ্চিন্তার হাত পড়েছে। কারণ, অল্প টাকায় ফোন কেনার প্রলোভনে অনেক ব্যবহারকারী অনিবন্ধিত বা লাগেজ পার্টি থেকে ফোন কিনে থাকেন। যার ফলে ব্যবহারকারী অনেক সময় নিজেই জানেন না— তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বৈধ নাকি অবৈধ। মোবাইল বৈধ না অবৈধ, যাচাই করবেন যেভাবে

মোবাইল হ্যান্ডসেট কেনার আগে মেসেজ অপশন থেকে KYD ১৫ ডিজিটের IMEI নম্বর লিখে (উদাহরণ- KYD 123456789012345) ১৬০০২ নম্বরে পাঠান। এরপর ফিরতি বার্তায় জানতে পারবেন মোবাইলটি বৈধ না অবৈধ।

অনিবন্ধিত মোবাইল সেট বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) থেকে একটি বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়েছে।

বিটিআরসির স্পেকট্রাম বিভাগের পরিচালক ড. মো. সোহেল রানার সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিটিআরসির মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র ও নিবন্ধিত সিম কার্ডের সঙ্গে ট্যাগিং করে প্রতিটি মোবাইল ফোন নিবন্ধন করতে হবে। সরকারি সেবা গ্রহণ, প্রদান নিশ্চিত করা, অবৈধভাবে উৎপাদিত, আমদানি করা মোবাইল ফোনের ব্যবহার বন্ধ করার মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব আহরণ নিশ্চিত করা এবং ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের চুরি ও অবৈধ ব্যবহার রোধ করার উদ্দেশ্যে বিটিআরসি এনইআইআর এর কার্যক্রম পূর্ণাঙ্গ রূপে চালু করার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

এতে আরো বলা হয়েছে, অতি শিগগিরই অবৈধ মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন করা হবে। সেজন্য, সবাইকে মোবাইল হ্যান্ডসেট কেনার আগে বৈধতা যাচাই করে কেনার জন্যও বিজ্ঞপ্তিতে অনুরোধ করা হয়।

MKRdezign

Contact Form

Name

Email *

Message *

Theme images by Jason Morrow. Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget