❑ কুকুরের পেটে ঘি কিন্তু সয়!
‘কুকুরের পেটে ঘি সয় না’ বাংলা প্রবাদটি জানা নেই এমন বাংলাভাষী সম্ভবত বিরল। সেই ছোটবেলা থেকে শুনতে শুনতে আমরা সবাই এর ‘সত্যতা’ মেনে নিয়েছি, কিন্তু কেউ কি কখনও যাচাই করে দেখেছেন- সত্যিই কুকুরের পেটে ঘি সয় কিনা!
প্রাণী লালনপালনবিষয়ক আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ওয়েবসাইট জানাচ্ছে ঠিক উল্টো কথা। বিশেষজ্ঞদের বরাতে তারা বলছে, কুকুরের পেটে ঘি সহ্য না হওয়ার তথ্য একদম বাজে কথা, বরং ঘি কুকুরের জন্য বেশ স্বাস্থ্যকর।
দুধ বা দুধজাতীয় খাবারে মানুষসহ বিভিন্ন প্রাণীর বদহজম হতে পারে। এর জন্য দায়ী দুধে থাকা ল্যাকটোজ। তবে ঘি এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। দুধ থেকে ঘি হতে হতে ল্যাকটোজ অনেকটাই কমে যায়। এ কারণে ঘি হজমে মানুষের মতোই কুকুরের পাকস্থলীর তেমন বেগ পেতে হয় না।
ফ্রেশ ফর প, ক্রিয়েচার কমপেনিয়ন এবং ক্যান ডগস ইট ইট নামের ওয়েবসাইটের তথ্য বলছে, ঘি-তে আছে প্রচুর ভিটামিন এ; যা কুকুরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ও চোখ ভালো রাখে।
ভিটামিন কে-ও বেশ পাওয়া যায় ঘি-তে। এই ভিটামিন কুকুরের শরীরে ক্যালসিয়ামকে কাজে লাগাতে সাহায্য করে। আর এটা কে না জানে- ক্যালসিয়াম মজবুত হাড় ও দাঁতের জন্য অপরিহার্য।
বিউটেরিক এসিড নামে একটি উপাদানও রয়েছে ঘি-তে। এটি কুকুরের হিপ, জয়েন্টের প্রদাহ ও ত্বকের অ্যালার্জি কমিয়ে দেয়।
ঢাকার মোহাম্মদপুরের ভেট অ্যান্ড পেট কেয়ারের কনসাল্ট্যান্ট রূপ কুমার এসব তথ্যের সঙ্গে পুরোপুরি একমত। তিনি থিংকবিডিকে জানান, ওজনভেদে চা-চামচের চারভাগের একভাগ থেকে এক চা-চামচ পর্যন্ত ঘি দেয়া যাবে কুকুরকে।
তবে মানুষের মতো কুকুরকেও যেকোনো খাবার অতিমাত্রায় খাওয়ানো মানা। রূপ কুমার বলছেন, অতিমাত্রায় ঘি খাওয়ানো হলে প্রিয় কুকুরটি মুটিয়ে যেতে পারে। আবার এরই মধ্যে মুটিয়ে যাওয়া বা প্যানক্রিয়াটিটিসে আক্রান্ত- এমন কুকুরকে ঘি খেতে না দেয়া হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
[থিংকবিডি ডটনেট] #thinkbd
Post a Comment