বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের অভিবাসীদের ফেরত পাঠাতে ইইউর উদ্যোগ


অবৈধ
অভিবাসীদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে উদ্যোগ নিচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। গত বৃহস্পতিবার বিষয়ে ইইউ অভিবাসন মন্ত্রীরা এক বৈঠকে ভিসা সীমিতকরণসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করেছেন। এতে বাংলাদেশের জন্যও একই পদক্ষেপের সুপারিশ করা হয়। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এমনটা জানা যায়।

 বৈঠকে যেসব দেশ নিজেদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে সহযোগিতা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে বা সহযোগিতামূলক আচরণ করছে না তাদের জন্য ভিসা সীমিতকরণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এর আগে ধরণের আচরণের জন্য গাম্বিয়ার প্রতি শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

 

অন্যদিকে ইরাক, সেনেগাল বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও একই ধরণের পদক্ষেপ গ্রহণে সুপারিশ করেছে ইউরোপীয় কমিশন। যদিও ইইউ কর্মকর্তারা বলছেন অভিবাসী প্রত্যাবর্তনের ক্ষেত্রে ঢাকা বেশ সহযোগিতামূলক আচরণ করেছে।

এখন পর্যন্ত ২১ শতাংশ অভিবাসীকে নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে পেরেছে ইইউ। ২০২১ সালের সর্বশেষ ইউরোস্টেটের তথ্য অনুসারে এমনটা জানা যায়। ইইউ এক কর্মকর্তা বলেন, এই পরিসংখ্যানের পরিমাণটা খুবই কম যা সদস্য রাষ্ট্রগুলোর জন্য অনেকটা অপ্রত্যাশিত।

 

ইউরোপীয় ইউনিয়েনের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর জন্য অভিবাসন একটি উচ্চপর্যায়ের রাজনৈতিক সংবেদনশীল বিষয়বস্তু। সদস্য রাষ্ট্রগুলো ইউরোপে স্থায়ী অভিবাসন পাওয়া নাগরিকদের দায়িত্ব ভাগ করে নেওয়ার চেয়েও অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠানো অনিয়ন্ত্রিত অভিবাসন মোকাবেলাকে গুরুত্ব দেয়।

 

ইউরোপীয় কমিশন সুপারিশ করে যে, গ্রহণযোগ্য সুপরিকল্পিত অভিবাসন আশ্রয়ের জন্য একটি সার্বজনীন ইউরোপীয় ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন যা প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

 

জাতিসংঘের তথ্য অনুসারে ২০২২ সালে প্রায় লাখ ৬০ হাজার লোক ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল দিয়ে ইউরোপে প্রবেশ করেছে। মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দারিদ্রপীড়িত যুদ্ধাঞ্চলগুলো থেকে ইউরোপে প্রবেশের একটি অন্যতম পথ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এছাড়াও প্রায় ৮০ লাখ ইউক্রেনীয় নাগরিক গত বছর ইউরোপে অভিবাসী হিসেবে নিবন্ধিত হয়েছে।

ইইউ নীতিমালার সুবিধা সুযোগ ব্যবহার করে অঞ্চলটি থেকে অভিবাসীদের মূল দেশে ফেরত পাঠাতে কার্যকর প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া দরকার বলে এক যৌথ বিবৃতিতে মন্তব্য করে ইইউ অভিবাসনবিষয়ক মন্ত্রীরা।

 

তবে সংক্রান্ত বিষয়ে ইউরোপীয় দেশগুলোর অভ্যন্তরীণ লক্ষ্য হাসিলের মতপার্থক্য তৃতীয় দেশগুলোর প্রতি ভিসা সীমিতকরণসহ অন্যান্য শাস্তিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণে অন্যতম বাধা তৈরি করে। মধ্যপ্রাচ্য উত্তর আফ্রিকা থেকে মুসলিম অভিবাসীদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বেশ কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ। অন্যদিকে জার্মানী নিজেদের শ্রমবাজার অভিবাসীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার পক্ষে।

Post a Comment

[blogger]

MKRdezign

Contact Form

Name

Email *

Message *

Theme images by Jason Morrow. Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget